ওয়াকিটকি কি ? তার মোটামুটি ধারনা আমাদের সবার ই জানা। এটা এক ধরনের ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র  দেখতে অনেকটা টেলিফোনের মতই,  যা অল্প রেইঞ্জের মধ্যে তথ্য আদান প্রদানে সহযোগিতা করে থাকে । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, ইউএস আর্মির যোগাযোগের প্রয়োজনে মূলত  ওয়াকিটকির আবিস্কার হয়। পরে যা সাধারন মানুষের মধ্যেও জনপ্রিয়তা লাভ করে।

ওয়াকিটকি কিভাবে কাজ করে ?

সাধারনত মানুষ ফ্রিকোয়েন্সি টিউন করে ওয়াকিটকি ব্যবহার করে থাকে,যাকে চ্যানেল বলা হয়। ইহা তথ্য প্রেরন ও গ্রহন করতে পারে চ্যানেলের রেঞ্জের ভেতর থাকলে। মোবাইল ফোন এর মতন ওয়াকিটকি ‘পুশ-টু-টক’ পদ্ধতিতে কাজ করে থাকে, যেখানে আপনাকে বাটন চাপ দিয়ে কথা বলতে হবে, অপর পাশের কথা শোনার জন্য আপনাকে বাটন কে ছেড়ে দিতে হবে।

ওয়াকিটকির ব্যবহার

বাচ্ছাদের খেলার জন্য ওয়াকিটকি অনেক জনপ্রিয়। বাচ্ছারা ওয়াকিটকি দিয়ে “over and out” পদ্দতিতে খেলে মজা পেয়ে থাকে। এছাড়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাজে এর অনেক ব্যবহার হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওয়াকিটকি ব্যবহার করে থাকে তথ্য আদান প্রদানে। “event management” এর কাজগুলোতে এর প্রচুর ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়া অফিসে, বাসাবাড়ির নিরাপত্তায়, সরকারি দপ্তরে ওয়াকিটকির ব্যবহার হয়।

আপনি কেন ওয়াকিটকি কিনবেন

বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোনের এর বদলে ওয়াকিটকি ব্যবহার অনেকটা সেকেলে হলেও, কিছুক্ষেত্রে ওয়াকিটকিই হতে পারে আপনার ভরসাঃ

  • বাচ্চাদের খেলধুলার সময় ওয়াকিটকি আপনাকে যোগাযোগে সাহায্য করবে, সাথে বাচ্ছারা মজা ও পাবে।
  • বিয়ে বাড়িতে কাজ পরিচালনায় ব্যবহার করতে পারেন ওয়াকিটকি।
  • বাড়ীর, অফিসের সিকিউরিটি গার্ড এর সাথে যোগাযোগের ব্যবহার করতে পারেন ওয়াকিটকি।
  • ইভেন্ট যেমন কনসার্ট, সম্মেলন, মিলাদ-মাহফিল, রাজনৈতিক সম্মেলন পরিচালনায়   ওয়াকিটকি ব্যবহার আপনাকে চিন্তা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

বাংলাদেশে ওয়াকিটকি ব্যবহারের নিতিমালা

প্রাতিষ্ঠানের জন্য ওয়াকিটকি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। বিটিআরসি সাধারনত দুইধরনের লাইসেন্স ইস্যু করে থাকেঃ

  • ১।  Individual Frequency: লাইসেন্সে, যা সরকারী, আধা-সরকারি, এয়ারলাইন্স এর জন্য প্রযোজ্য। এটা একতা   ফ্রিকোয়েন্সি একতা চ্যানেল এর জন্য। ব্যবহারকারি যেকোনো কোম্পানির  ওয়াকিটকি ব্যবহার করতে পারবে। প্রতি  ওয়াকিটকির জন্য প্রতি বছর ৪,৫০০ টাকা দিতে হবে।
  • ২। Short Business Radio Frequency: এটি হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য। এটার ফ্রিকোয়েন্সি ৮০ টা, ৮০ টা চ্যানেলের জন্য। বেবহারকারি যেকোনো চ্যানেল ব্যবহার করতে পারবে। তবে ব্যবহার কারি কালো রঙের ওয়াকিটকি ছাড়া অন্য যেকোনো রঙের ব্যবহার করতে পারবে।

ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য আপনাকে অবশ্যই বিটিআরসির লাইসেন্স ইস্যু করতে হবে। লাইসেন্স ইস্যু করার অনেক সহজ, যা বিনা খরছে করা যায়।

কোন কোম্পানির ওয়াকিটকি  কিনবেন ? সমস্যা ? চিন্তার কিছু নেই। ভালো ওয়াকিটকির কিছু ব্যাপারে লক্ষ্য রেখে কিনতে হবে আপনাদের। যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেনঃ

ভালো ওয়াকিটকির কিছু উল্লেখযোগ্য ফিচার

  • সম্পূর্ণ পানি এবং ধূলা-বালি ঢুকা থেকে মুক্ত থাকে এমন।
  • বেশী দুরত্বের সংকেত দিতে সক্ষম।
  • চ্যানেল ক্যাপাসিটি ১৬ টি বা বেশি থাকে।
  • দীর্ঘ ব্যাটারী সহ পুরো চার্জে প্রায় ২০ ঘন্টা সচল থাকে।
  • ব্যাটারী,এন্টেনা সহ মাত্র কম গ্রাম ওজন এর মত যাতে হয়।

 

Menu